নিজের ৭ বছর বয়সী কন্যা সন্তানের অস্ত্রোপচার করে বাঁচাতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন ভারতের কেরালার অর্থোপেডিকসের স্বনামধন্য চিকিৎসক অনুপ কৃষ্ণা। নিজের সন্তানকে বাঁচাতে না পারায় বেশ কয়েকদিন ধরেই ডা. অনুপ কৃষ্ণার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও কেরালায় সমালোচনা শুরু হয়। বিষয়টি নিয়ে মানসিক চাপে ছিলেন ডা. কৃষ্ণা।
ডা. কৃষ্ণার মৃত্যুর ঘটনায় কেরালার কোল্লাম জেলা পুলিশ অপমৃত্যুর মামলা করেছেন। শুরু হয়েছে তদন্ত।
ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, ডা. অনুপ কৃষ্ণা ‘অনুপ অর্থো কেয়ার’ নামে নিজেই একটি ক্লিনিক চালাতেন। ওই হাসপাতালেই গত ২৩ সেপ্টেম্বর নিজের ৭ বছর বয়সী কন্যার হাটুর অপারেশন করেন তিনি। কিন্তু অপারেশনের সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হন ডা. অনুপের মেয়ে। এসময় তিনি নিজের মেয়ে অন্য হাসপাতালেও নিয়ে যান। কিন্তু মেয়েকে বাঁচাতে পারেননি।
এঘটনায় ওই ডা. অনুপের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ এনে স্থানীয়রা তার ক্লিনিকের সামনে বিক্ষোভ করে। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ডা. অনুপ কৃষ্ণাকে খুনি সাব্যস্ত করে ব্যাপক ট্রল শুরু হয়।
এসবের জেরেই ১ অক্টোবর নিজ বাড়ির বাথরুমে আত্মহত্যা করেন ডা. কৃষ্ণা। আত্মহত্যার আগে তিনি বাথরুমের দেয়ালে লিখেছেন ‘সরি’ (দুঃখিত)।
এদিকে ডা. অনুপের আত্মহত্যার পেছনে স্থানীয় ও সমালোচনাকারীদের প্ররোচনা রয়েছে বলে দাবি করেছে কেরালার অধিকাংশ চিকিৎসক। তারা বলছেন, সামাজিক ভাবে হেনস্তার শিকার হওয়ার পরেই ডা. অনুপ কৃষ্ণা আত্মহত্যার পথ বেঁছে নেন। কোনো চিকিৎসকই চান না, তাদের রোগীর কোনো ক্ষতি হোক। সেখানে ডা. অনুপ নিজের মেয়ের অপারেশন করেছেন। এ নিয়ে দায়িত্ব অবহেলার প্রশ্নই আসে না।
টাইমস/এসএন